কে কাকে ত্রিসমুদ্রধিপতি বলেছেন?

★★★★★
সাতবাহন বংশের শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণি ছিলেন সামুদ্রিক বাণিজ্যের পৃষ্ঠপোষক। তাঁর শাসনামলে সমুদ্র যাত্রা ও বাণিজ্যের চরম উন্নতি ঘটে।

সাতবাহন বংশের রাজারা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন। বিশেষ করে শেষ উল্লেখযোগ্য সাতবাহন রাজা যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণি, যিনি তাঁর সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত। তিনি বৈদেশিক বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছিলেন এবং তাঁর মুদ্রায় জাহাজের ছবি খোদিত করেছিলেন। এজন্যই বাণভট্ট তাঁকে 'ত্রিসমুদ্রধিপতি' বলে অভিহিত করেছেন।

যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণি: সাতবাহন বংশের ত্রিসমুদ্রধিপতি

যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণির সামুদ্রিক বাণিজ্য:

যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণি ছিলেন একজন অত্যন্ত দক্ষ ও প্রভাবশালী শাসক। তিনি সমুদ্রযাত্রা ও সামুদ্রিক বাণিজ্যের উপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তাঁর শাসনামলে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অংশের সাথে সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এছাড়াও, তাঁর মুদ্রায় জাহাজের ছবি খোদিত করা হয়েছিল, যা তাঁর সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রমাণ বহন করে।


বাণভট্টের অভিহিতকরণ:

বিখ্যাত সংস্কৃত কবি ও লেখক বাণভট্ট যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণির সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছিলেন। বাণভট্ট তাঁর সাহিত্যকর্মে যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণিকে 'ত্রিসমুদ্রধিপতি' বলে উল্লেখ করেছেন। এই উপাধি প্রমাণ করে যে যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণি তৎকালীন সময়ে কতটা প্রভাবশালী ছিলেন এবং তাঁর সামুদ্রিক বাণিজ্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।


উপসংহার:

যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণি তাঁর শাসনামলে সমুদ্র বাণিজ্যের মাধ্যমে সাতবাহন বংশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর সামুদ্রিক বাণিজ্যের উন্নতি এবং বাণিজ্যিক কৃতিত্বের জন্য বাণভট্ট তাঁকে 'ত্রিসমুদ্রধিপতি' বলে অভিহিত করেছিলেন, যা তাঁর সামুদ্রিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণতা এবং তাঁর শাসনামলের প্রভাবকে প্রতিফলিত করে।

Tags:
Next Post Previous Post