কে কবে 'মনরো নীতি' ঘোষণা করেন?

★★★★★
১৮২৩ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জেমস মনরো 'মনরো নীতি' ঘোষণা করেন, যা ইউরোপীয় উপনিবেশবাদ থেকে আমেরিকার মহাদেশগুলোকে রক্ষা এবং রাজনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষার

১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি জেমস মনরো বিখ্যাত 'মনরো নীতি' ঘোষণা করেন। এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার মহাদেশগুলিকে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদ থেকে রক্ষা করা এবং পশ্চিম গোলার্ধের রাজনৈতিক স্বার্থকে সুরক্ষিত করা।

মনরো নীতি আমেরিকার উপনিবেশবাদ থেকে মুক্তির ঘোষণা

মনরো নীতির মূল বিষয়বস্তু

১. ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের অবসান:

মনরো নীতি ইউরোপীয় দেশগুলিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে তারা আর আমেরিকার মহাদেশে কোনো নতুন উপনিবেশ স্থাপন করতে পারবে না। যে কোনো ধরনের উপনিবেশবাদী পদক্ষেপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করবে।

২. আমেরিকার রাজনীতিতে ইউরোপের অপ্রাসঙ্গিকতা:

মনরো নীতি ঘোষণা করে যে ইউরোপের কোন রাজনৈতিক ঘটনার মধ্যে আমেরিকা অংশগ্রহণ করবে না এবং ইউরোপীয় দেশগুলিও আমেরিকার রাজনৈতিক ঘটনায় অংশগ্রহণ করবে না। এটি এক ধরনের অ-হস্তক্ষেপ নীতি, যার মাধ্যমে আমেরিকা এবং ইউরোপের মধ্যে পৃথক পৃথক রাজনৈতিক অবস্থান বজায় রাখা হয়।

৩. স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা:

মনরো নীতিতে ঘোষণা করা হয় যে আমেরিকার মহাদেশের কোনো দেশ যদি স্বাধীনতা অর্জন করে তবে সেই স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রক্ষা করবে। ইউরোপীয় শক্তির দ্বারা সেই স্বাধীন দেশগুলির ওপর আক্রমণ বা হস্তক্ষেপ করা যাবে না।

৪. পশ্চিম গোলার্ধের সুরক্ষা:

এই নীতির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিম গোলার্ধের দেশগুলিকে ইউরোপীয় প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা। এটি আমেরিকার জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক নীতি ছিল, যা পশ্চিম গোলার্ধকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করত।


মনরো নীতির প্রভাব

মনরো নীতি এক নতুন যুগের সূচনা করে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব মহাদেশের রাজনীতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। এটি ইউরোপীয় দেশগুলির উপর একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করে যে আমেরিকা তার নিজের মহাদেশের ব্যাপারে স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে।


এই নীতিটি পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির একটি ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং আমেরিকার প্রভাবশালী ভূমিকায় অগ্রগতি ঘটায়।

Tags:
Next Post Previous Post