কুষাণ যুগের চিকিৎসক চরক ও শুশ্রুত কে ছিলেন? শূন্যতাবাদ কে প্রবর্তন করেন?

কুষাণ যুগ পৃথিবীর চিকিৎসা ও জ্ঞানের ইতিহাসে একটি গভীরভাবে গবেষিত কাল। যেখানে বিভিন্ন দিগন্তে প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাবিদ ও দার্শনিকদের কর্মকাণ্ড উদ্ভব হয়েছিল। এই যুগের মধ্যে দুই মহান চিকিৎসক ছিলেন চরক ও শুশ্রুত।

কুষাণ যুগে চরক, শুশ্রুত ও নাগার্জুন

চরক

চরক কণিষ্কের সম্ভবত প্রাচীনকালের একজন প্রখ্যাত চিকিৎসাবিদ ছিলেন। তার চিকিৎসা প্রণালী এবং পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে লেখা হয় 'চরক সংহিতা', যা একটি মৌলিক ভেষজ বিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ। চরকের এই গ্রন্থ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় প্রযুক্ত পদ্ধতি এবং ঔষধের ব্যবহার নিয়ে প্রস্তুতি করেন, যা পরের কালের চিকিৎসাবিদদের সংশ্লিষ্ট হয়ে গেল।


শুশ্রুত

শুশ্রুত কণিষ্কের সম্ভবত প্রাচীনকালের শল্যবিদ, যার রচনা 'শুশ্রুত সংহিতা' নামক গ্রন্থে প্রকাশিত হয়। তার গ্রন্থে বিভিন্ন চিকিৎসায় শল্যচিকিৎসার পদ্ধতি এবং কৌশলগুলি বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে, যা আধুনিক চিকিৎসাবিদদের সম্প্রতি উত্তেজনা দেয়েছে। শুশ্রুতের প্রচলিত পদ্ধতি ও সুধার প্রয়োগ দ্বারা তার সময়ের চিকিৎসার মান ও প্রভাব দেখা গেল।


নাগার্জুন এবং শূন্যতাবাদ

নাগার্জুন, কুষাণ যুগের একজন প্রখ্যাত বৌদ্ধ দার্শনিক ও প্রবণতার্কিক 'শূন্যতাবাদ' নামক দার্শনিক সিদ্ধান্ত প্রবর্তন করেন। তার মূল বক্তব্য ছিল, "সবং শূন্যম" অর্থাৎ পরিদৃশ্যমান জগৎ, মানসিক প্রক্রিয়া ও জ্ঞান, সবই শূন্য। এই তাত্ত্বিক সিদ্ধান্ত অনুসারে নাগার্জুন প্রতিষ্ঠান করেন যে সমস্ত পৃথিবীতে সত্য বা অস্তিত্বের সমস্ত ধারণা শূন্য বিষয়টির উপর নির্ভর করে পূর্ণতা অর্জন করে। শূন্য নিরাকার নয়, তবে এটির বর্ণনা করা যায় না।


চরক, শুশ্রুত, এবং নাগার্জুনের প্রভাবশালী কর্মকাণ্ডের ফলে কুষাণ যুগের ভারতীয় চিকিৎসা ও দার্শনিক ধারণার উন্নতি হয়ে উঠে। তাদের চিকিৎসা পদ্ধতি এবং

Tags:
Next Post Previous Post