মৌর্য সাম্রাজ্য কটি প্রদেশে বিভক্ত ছিল?

★★★★★
মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রাদেশিক বিভাজন একটি গবেষণামূলক বিষয় যা সাম্রাজ্যের সুসংগঠিত প্রশাসনিক প্রণালী ও প্রভাবশালী শাসনব্যবস্থার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছিল।

মৌর্য সাম্রাজ্য একটি সুবিশাল এবং সুসংগঠিত সাম্রাজ্য ছিল। এই সাম্রাজ্য বিভিন্ন প্রদেশে বিভক্ত ছিল। এই প্রদেশগুলো প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ সহজতর করার উদ্দেশ্যে বিভক্ত করা হয়েছিল। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রথম দিকের এবং অশোকের আমলের প্রাদেশিক বিভাগ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:

মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রাদেশিক বিভাজন একটি গবেষণামূলক বিষয় যা সাম্রাজ্যের সুসংগঠিত প্রশাসনিক প্রণালী ও প্রভাবশালী শাসনব্যবস্থার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছিল।

মৌর্য সাম্রাজ্যে প্রাথমিক প্রাদেশিক বিভাগ

  • ১। প্রাচ্য: প্রাচ্য প্রদেশটি পূর্ব ভারতজুড়ে বিস্তৃত ছিল। এই প্রদেশের প্রধান নগরী ছিল পাটলিপুত্র (বর্তমান পাটনা), যা মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। প্রাচ্য প্রদেশটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
  • ২। উত্তরাপথ: উত্তরাপথ প্রদেশটি উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত ছিল। এই প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর ছিল তক্ষশিলা। উত্তরাপথ প্রদেশটি সামরিক এবং বাণিজ্যিক কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
  • ৩। অবন্তী: অবন্তী প্রদেশটি মধ্য ভারতজুড়ে বিস্তৃত ছিল। এর প্রধান নগরী ছিল উজ্জয়িনী। অবন্তী প্রদেশটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে প্রভাবশালী ছিল।
  • ৪। দক্ষিণাপথ: দক্ষিণাপথ প্রদেশটি দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল। এই প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর ছিল সুপ্রাপ্ত। দক্ষিণাপথ প্রদেশটি বাণিজ্যিক ও সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।


অশোকের আমলের মৌর্য সাম্রাজ্যে প্রাদেশিক বিভাগ

অশোকের আমলে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রাদেশিক বিভাজনে আরও একটি প্রদেশ যুক্ত হয়:

  • ৫। কলিঙ্গ: কলিঙ্গ প্রদেশটি পূর্ব ভারতের ওড়িশা অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। কলিঙ্গ যুদ্ধের পরে অশোক এই প্রদেশটি মৌর্য সাম্রাজ্যের সাথে যুক্ত করেন এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে।


উপসংহার

মৌর্য সাম্রাজ্য প্রথমে চারটি প্রদেশে বিভক্ত ছিল। যথা প্রাচ্য, উত্তরাপথ, অবন্তী এবং দক্ষিণাপথ। অশোকের আমলে কলিঙ্গ প্রদেশ যুক্ত হওয়ায় মোট প্রদেশের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচটি। এই প্রদেশগুলোতে পৃথক প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। এগুলি সাম্রাজ্যের সুসংগঠিত ও কার্যকরী শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করেছিল।

Tags:
Next Post Previous Post