মৌর্য যুগে আর্যপুত্র কাদের বলা হতো?

★★★★★
মৌর্য যুগে প্রাদেশিক শাসনভার রাজপরিবারের সদস্যদের হাতে ন্যস্ত করা হতো। এদের ‘আর্যপুত্র’ বলা হতো। ডঃ রায়চৌধুরী এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন সম্ভ্রান্ত লোকের...

মৌর্য যুগে প্রশাসনিক ব্যবস্থা অত্যন্ত সংগঠিত এবং সুনির্দিষ্ট ছিল। প্রদেশগুলির শাসনভার রাজপুত্র বা রাজপরিবারের লোকেদের হাতে ন্যস্ত করা হতো। এই প্রাদেশিক শাসকরা ‘আর্যপুত্র’ উপাধি গ্রহণ করতেন। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

মৌর্য যুগে ‘আর্যপুত্র’ উপাধির গুরুত্ব


প্রাদেশিক শাসন

মৌর্য সাম্রাজ্যে প্রতিটি প্রদেশের শাসনভার রাজপরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হতো। এটি একটি সাধারণ প্রথা ছিল যাতে রাজ্য শাসন পরিচালনায় রাজ পরিবারের সদস্যদের জড়িত করা যায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করা যায়। রাজপুত্ররা প্রদেশগুলির প্রশাসনিক ও সামরিক দায়িত্ব পালন করতেন।


সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলি

সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলির শাসনভারও রাজপরিবারের লোকেদের হাতে দেওয়া হতো। এভাবে, সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেত এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তাদের আনুগত্য বজায় থাকত। সীমান্ত অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিরা ‘আর্যপুত্র’ উপাধিতে ভূষিত হতেন, যা তাদের মর্যাদা এবং ক্ষমতা নির্দেশ করত।


‘আর্যপুত্র’ উপাধি

ডঃ রায়চৌধুরী ‘আর্যপুত্র’ শব্দটি ব্যাখ্যা করেছেন সম্ভ্রান্ত লোকের পুত্র হিসেবে। এটি শুধুমাত্র রাজপুত্রদেরই নয়, বরং রাজপরিবারের অন্য সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদেরও নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতো। এই উপাধি শুধু সম্মানের প্রতীক ছিল না, বরং শাসনক্ষমতার চিহ্নও ছিল।


উপসংহার

মৌর্য সাম্রাজ্যে ‘আর্যপুত্র’ উপাধিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। এটি রাজপরিবারের সদস্যদের শাসনক্ষমতা এবং মর্যাদার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। রাজ্যের প্রদেশগুলির শাসনভার রাজপুত্রদের হাতে ন্যস্ত করে সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় শাসনকে শক্তিশালী করা হতো এবং সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেত।

Tags:
Next Post Previous Post