নবজাগরণ প্রসূত বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর অবদান উল্লেখ করো।
ইউরোপে নবজাগরণের প্রভাবে পঞ্চদশ শতকে বিজ্ঞানের যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটে এবং আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটে। বিভিন্ন বিজ্ঞানী আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে অবদান রাখেন।
নবজাগরণের যুগে বিজ্ঞানীদের অবদান
1. রজার বেকন
'আধুনিক বিজ্ঞানের জনক' রজার বেকন (১২১৪-১২৯৪ খ্রি.) ছিলেন ইংল্যান্ডের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী। তিনি বলবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, আলোকবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র প্রভৃতি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় কৃতিত্বের পরিচয় দেন। তিনি বারুদ, চশমা, কাচ, বায়ুপাম্প প্রভৃতি আবিষ্কার করেন। 'ওপাস মাজুস' তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত গ্রন্থ।
2. নিকোলাস কোপারনিকাস
পোল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস কোপারনিকাস (১৪৭৩-১৫৪৩ খ্রি.) ছিলেন আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার জনক। তিনিই সর্বপ্রথম বলেন যে, পৃথিবী নয়, বিশ্বব্রহ্মান্ডের কেন্দ্রে অবস্থান করছে সূর্য। সূর্যকে কেন্দ্র করেই পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহগুলি ঘুরছে।
3. ফ্রান্সিস বেকন
ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস বেকন (১৫৬১-১৬২৬ খ্রি.) পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃতির রহস্য উদ্ঘাটনের কথা বলেন। 'নোভাম অর্গানাম' তাঁর লেখা একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
4. গ্যালিলিও গ্যালিলি
ইতালির বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২ খ্রি.) সৌরজগতের গঠন সংক্রান্ত কোপারনিকাসের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। তিনি দূরবিন ও পেন্ডুলাম ঘড়ি আবিষ্কার করেন।
5. জোহানেস কেপলার
জোহানেস কেপলার (১৫৭১- ১৬৩০ খ্রি.) গাণিতিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন গ্রহের গতিবিধি ও গতিপথ নির্ণয় করেন। তিনি মঙ্গল গ্রহের পরিক্রমণ পথ এবং সূর্য থেকে মঙ্গলের দূরত্ব নির্ণয় করেন।
6. আইজ্যাক নিউটন
ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন (১৬৪২-১৭২৭ খ্রি.) 'মাধ্যাকর্ষণ সূত্র' ও 'অভিকর্ষ সূত্র' আবিষ্কার করেন। তিনি বলেন যে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য বিশ্বব্রহ্মান্ডের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে আকর্ষণ করে এবং অভিকর্ষ বলের জন্য পৃথিবীতে প্রতিটি বস্তু নীচের দিকে পতিত হয়।
Tags: #Europe