ভিয়েনা সম্মেলন: সময়, সভাপতি, প্রতিনিধি, উদ্দেশ্য, মূলনীতি ও গুরুত্ব - টীকা

১৮১৫ সালের জুন মাসে ইউরোপের পাঁচটি প্রধান দেশের (অস্ট্রিয়া, ব্রিটেন, রাশিয়া, প্রাশিয়া ও ফ্রান্স) এর প্রতিনিধিরা অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা তে একটি সম্মেলনে মিলিত হয়ে যে চুক্তি স্বাক্ষর করেন তা ভিয়েনা চুক্তি নামে পরিচিত।

ভিয়েনা সম্মেলন: ইউরোপের প্রাক-শান্তি সম্মতি

ভিয়েনা সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিবৃন্দ

এই ভিয়েনা সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন অস্ট্রিয়ার রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী বা চ্যান্সেলর প্রিন্স মেটারনিক। এছাড়াও অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা হলেন রাশিয়ার প্রথম আলেকজান্ডার, প্রাশিয়ার প্রতিনিধি হাডেনবার্গ, বৃটেনের প্রতিনিধি ক্যাসেলরি ও ডিউক অফ ওয়েলিংটন এবং ফ্রান্সের প্রতিনিধি ছিলেন ট্যালেরাঁ।


ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্দেশ্য

ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘদিন ধরে চলা বিপ্লবী যুদ্ধ ও নেপোলিয়নিক যুদ্ধ বন্ধ করে ইউরোপে একটি শান্তির পরিবেশ তৈরি করা। তাই চতুঃশক্তি মিত্রতা (১৮১৫) স্বাক্ষরকারী দেশগুলি পরবর্তী ২০ বছর নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং নেপোলিয়নের চূড়ান্ত পরাজয়ের পর তারা ভিয়েনা সম্মেলনের বন্দোবস্ত করে।


ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি

ভিয়েনা সম্মেলন মূলত তিনটি নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল যথা- 

  • ১) আঞ্চলিক পুনবন্টন ও ক্ষতিপূরণ নীতি, 
  • ২) বৈধ অধিকার নীতি ও 
  • ৩) শক্তি সাম্য নীতি।


ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব

ঐতিহাসিক ডেভিড থমসনকে অনুসরণ করে বলা যায়, সার্বিকভাবে ভিয়েনা সম্মেলন ছিল “একটি যুক্তিগ্রাহ্য ও কূটনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন বন্দোবস্ত”। ভিয়েনার পর ইউরোপ মোটামুটি দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থিতি ও শান্তি পেয়েছিল। আর এই শান্তির জন্য ইউরোপবাসী এর উদগির কামনা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।

Tags:
Next Post Previous Post