মুর্শিদকুলি খান ও আলিবর্দি খান-এর সময়ে বাংলার সঙ্গে মুঘল শাসনের সম্পর্কের চরিত্র কেমন ছিল?
মুর্শিদকুলি খান থেকে আলিবর্দি: বাংলা সুবার মুঘল শাসন থেকে স্বাধীনতা অনুসরণ
উত্তর মুর্শিদকুলি খানের সময় থেকে মুঘল শাসনাধীন সুবা বাংলা আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ধীরে ধীরে সুবা বাংলার উপর মুঘল সম্রাটদের কর্তৃত্ব কমতে থাকে। নবাব আলিবর্দির শাসনকালে আনুষ্ঠানিকভাবে মুঘল কর্তৃত্বকে স্বীকার করা হলেও বাংলায় তিনি স্বশাসিত প্রশাসন চালাতেন।
মুর্শিদকুলি খানের সময়ে মুঘল শাসন | |
---|---|
মুর্শিদকুলি খানের পূর্বনাম ছিল মহম্মদ হাদি। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব তার সততা ও দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে মুর্শিদকুলি খান উপাধি দেন। ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট ঔরঙ্গজেব তাকে বাংলার অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও রাজস্ব সংস্কারের জন্য বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত করেন। মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহের আমলেও তিনি দেওয়ান পদে বহাল ছিলেন। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র তাকে দেওয়ান পদের সঙ্গে নাজিম বা নবাব পদ দেন। এই সময় থেকে মুর্শিদকুলি খানের নেতৃত্বে বাংলার স্বাধীন ইতিহাসের সূচনা হয়। |
|
আলিবর্দি খানের সময়ে মুঘল শাসন | |
আলিবর্দি খানের শাসনকালে (১৭৪০-১৭৫৬ খ্রি.) বাংলা সুবার অধিকার মুঘলদের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। তিনি বাংলার শাসনতান্ত্রিক কোনো খবরাখবর মুঘল সম্রাটকে জানাতেন না। আলিবর্দি মুঘল সম্রাটকে নিয়মিত রাজস্বও পাঠাতেন না। আনুষ্ঠানিকভাবে মুঘল কর্তৃত্বকে স্বীকার করলেও বাস্তবে বাংলায় তিনি স্বশাসিত প্রশাসন চালাতেন। |
মুর্শিদকুলি খানের সময়ে বাংলার সঙ্গে মুঘল শাসনের
মুর্শিদকুলি খানের পূর্বনাম ছিল মহম্মদ হাদি। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব তার সততা ও দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে মুর্শিদকুলি খান উপাধি দেন।
- ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট ঔরঙ্গজেব তাকে বাংলার অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও রাজস্ব সংস্কারের জন্য বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত করেন।
- মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহের আমলেও তিনি দেওয়ান পদে বহাল ছিলেন।
- ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র তাকে দেওয়ান পদের সঙ্গে নাজিম বা নবাব পদ দেন। এই সময় থেকে মুর্শিদকুলি খানের নেতৃত্বে বাংলার স্বাধীন ইতিহাসের সূচনা হয়।
আলিবর্দি খানের সময়ে বাংলার সঙ্গে মুঘল শাসনের
আলিবর্দি খানের শাসনকালে (১৭৪০-১৭৫৬ খ্রি.) বাংলা সুবার অধিকার মুঘলদের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। তিনি বাংলার শাসনতান্ত্রিক কোনো খবরাখবর মুঘল সম্রাটকে জানাতেন না। আলিবর্দি মুঘল সম্রাটকে নিয়মিত রাজস্বও পাঠাতেন না। আনুষ্ঠানিকভাবে মুঘল কর্তৃত্বকে স্বীকার করলেও বাস্তবে বাংলায় তিনি স্বশাসিত প্রশাসন চালাতেন।
Related MCQ Question:
1. 1700 খ্রিস্টাব্দে বাংলার অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের জন্য কে আওরঙ্গজেবকে দিওয়ান নিযুক্ত করেন?
- ক) মুর্শিদকুলি খান
- খ) বাহাদুর শাহ
- গ) ফররুখসিয়ার
- ঘ) আলীবর্দী খান
উত্তর: ক) মুর্শিদকুলি খান
2. বাহাদুর শাহের শাসনামলে কে মুঘল সম্রাটের পাশাপাশি দিওয়ানের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন?
- ক) আলীবর্দী খান
- খ) মুর্শিদকুলি খান
- গ) আওরঙ্গজেব
- ঘ) ফররুখসিয়ার
উত্তর: খ) মুর্শিদকুলি খান
3. 1717 খ্রিস্টাব্দে, ফররুখসিয়ার দিওয়ান পদের পাশাপাশি আওরঙ্গজেবকে কোন উপাধিতে ভূষিত করেন?
- ক) নবাব
- খ) ভাইসরয়
- গ) সুলতান
- ঘ) নাজিম
উত্তর: D) নাজিম
4. আলীবর্দী খানের শাসনামলে বাংলায় মুঘল শাসনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কী ছিল?
- ক) মুঘল নির্দেশের সম্পূর্ণ আনুগত্য
- খ) মুঘল সম্রাটের ঘন ঘন আপডেট
- গ) বাংলায় মুঘল সম্রাটের কর্তৃত্বকে উপেক্ষা করা
- ঘ) সক্রিয়ভাবে মুঘলদের সাহায্য চেয়েছিলেন
উত্তর: গ) বাংলায় মুঘল সম্রাটের কর্তৃত্বকে উপেক্ষা করা
5. মুঘল শাসনের সাথে বাংলার সম্পর্কের ক্ষেত্রে আলীবর্দী খানের শাসনের বৈশিষ্ট্য কী?
- ক) মুঘল শাসনের অনিচ্ছা স্বীকার
- খ) মুঘল নীতির কঠোর আনুগত্য
- গ) সক্রিয়ভাবে মুঘল সাম্রাজ্যের কাছে রাজস্ব প্রেরণ
- ঘ) মুঘল কর্তৃত্ব স্বীকার করেও সরাসরি বাংলা শাসন করা
উত্তর: D) মুঘল কর্তৃত্ব স্বীকার করা সত্ত্বেও সরাসরি বাংলা শাসন করা
Tags: #Class 8